অসমাপ্ত জীবনের গল্প for Dummies

তাহলে শুন, তোমার ভালোবাসা অনেক আগেই একদিন তোমার জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে গোলাপ ফুল আর চিঠি তোমাকে দিতে আমাকে দিয়ে ছিলো। তখন গোলাপ আর চিঠি read more তোমাকে না দিয়ে আমার কাছে রেখে দিয়েছিলাম। ভালোবাসার গল্প

এদিকে বাসও ছেড়ে দিয়েছে। জানতে পাড়লাম দাদাটির নাম সমীর। এরপর পুরো রাস্তা নানান আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটে যায়। এর আগে কোনো সিনিয়রের সাথে এরকম কথা বলিনি, কথা বলিনি বলতে কি , আসলে আমি সিনিয়রদের একটু ভয় পেতাম আরকি!

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড হই। এরপর কিজানি আমার অজান্তেই কখন যে, আমার মনের দরজায় প্রেম এসে কড়া নাড়ছিল  কিছুই বুঝি নি, মনের দরজা খুলে দেখি, প্রেম ইতিমধ্যে আমার মনের ঘরে প্রবেশ করে ফেলেছে।

বারো বছরের স্কুল জীবনে ভাবতাম কবে এই জেলখানা থেকে মুক্তি পাবো। আজ বুঝতে পারলাম স্কুলজীবনের ওই বারোটা বছরই জীবনের কাটানো সেরা সময় ছিল।

“জানি না মাম…সত্যি জানিনা …মায়ের অসুস্থতার সময় নিজের বাড়িতে মিথ্যে বলে আমার বাড়িতে নার্স সেজে মায়ের এতো করে যত্ন নিলে । মা কে সুস্থ করে তুললে… “

ওই ছেলেটা যদি আজকে না থাকতো তাহলে তোর এই আজকে সবাইকে নিয়ে জন্মদিনের পার্টি করতে পারতি না। তোর কি মনে আছে একমাস আগে তোকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। আর ডাক্তার কি বলেছিলো।

সকালে খাওয়ার সময় আমার ভাই ইফতি  বলল, “তোমরা জানো ? কালকে আমাদের স্কুলের মাঠে বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের ভিতর ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।”বিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে বড় মামা আর অবিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে মুরাদ ভাই। এবং খেলার পরে বিশাল খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সেই উপলক্ষে কয়েকটা খাসি কেনা হয়েছে।”

নদীর পাড়ে আমরা অনেক হৈ চৈ করলাম , নৌকায় করে ওপারে গেলাম আবার এপারে আসলাম খুবই ভালো একটা সময় কাটালাম। ফিরার সময় সে ছোট খালাকে বললো ,”খালা আপনারা আসার আগে একটুও ভালো লাগছিল না, আপনারা আশায় আনন্দটা   দ্বিগুণ হয়ে গেল।,”

স্কুল জীবনে ভালবাসা কখনো ভোলা যাবেনা।

স্কুল মানেই বন্ধুদের সাথে খুনসুটি, টিচারের ভালোবাসা মাখানো বকুনি, পরিচিত ক্লাসরুমের চেনা গন্ধ, টিফিন ভাগ করে খাওয়ার আনন্দ, আরও কত কি!

সাথে সে এটার বলেছিলো যে ‘আপনাদের মেয়ে দিশা যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ, তারচেয়ে যদি দিশা বেচে থাকে তাহলে মরে গিয়েও আমি শান্তিতে থাকতে পারবো। এটা ভেবে যে আমি বেঁচে নেই তো কি হয়েছে আমার ভালোবাসার মানুষটা বেঁচে আছে। জানিস সেদিন ওর কথা শুনে আমি ও তোর আব্বু বুঝেছিলাম যে ছেলেটা তোকে কোতোখানী ভালোবাসে। আর তুই কিনা আজকে সেই ছেলেটাকেই……

মামের ও আমার উপর হয়তো ভরসা উঠে গেছিলো তাই ও নিজেও বিয়েতে খুব একটা আপত্তি দেখায়নি। কিন্তু কিছুমাস পর যখন আমাকে নিয়ে , শুভম মামের ওপর মিথ্যে সন্দেহ করে নির্যাতন শুরু করলো, তখন মাম আবার নিজের বাড়ি ফিরে আমার সাথে যোগাযোগ করলো। তখন জানতে পারলাম ও গর্ভবতী। তবুও মামকে বললাম শুভম কে ডিভোর্স দিয়ে আমার সাথে নতুন করে সংসার পাততে। কিন্তু বাবা মায়ের বাধ্য মেয়ে মাম , তাদের অনুমতি ছাড়া কিছুতেই আমার কথাতে সায় দিলো না ।

অসম্পূর্ণ ভালোবাসার গল্প গৌরব নিজেও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মাইনে ভালো , তবে নিজের গ্রাম ছেড়ে বহুকাল আগেই ও এই শহরে পাড়ি দিয়েছে পড়াশোনার তাগিদে। সেই ক্লাস টেন থেকে ওদের সম্পর্ক । তবে ‘মিয়া-বিবি’ রাজি হলেও দুই বাড়ির মধ্যে জাতিগত বিবাদ থাকায় বিয়ে অব্দি গড়ায়নি ওদের সম্পর্কটা।

তকে আজকে কিছু কথা না বললেই না। তুই যে রক্তিমকে গুন্ডা ‘বখার্টে বলে দাবি করছিলি ‘তুই কি একটি বারের জন্য আসল ঘটনাটা ভেবে দেখেছিস যে আসলে দেদিন কি ঘটেছিলো।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “অসমাপ্ত জীবনের গল্প for Dummies”

Leave a Reply

Gravatar